Site icon Bangla Wiki BD

চুয়াডাঙ্গায় কলেজ প্রভাষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় এক কলেজ প্রভাষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী (১৮) দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ছাত্রীটি অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি সাজিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলা সদরের একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাজিদ হাসান কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট কোচিংয়ের জন্য একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী ২০২০ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এইচএসসি পাস করার পর ছাত্রীটি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময়ের মধ্যে সাজিদ হাসান তাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। তবে ছাত্রীটি যখন বিয়ের কথা বলেন, তখন তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।

অভিযুক্তের পারিবারিক অবস্থা

সাজিদ হাসানের সহকর্মীদের বরাতে জানা গেছে, তিনি বিবাহিত এবং তার দুই মেয়ে রয়েছে (৯ ও ৬ বছর বয়সী)। তিনি পরিবার নিয়ে কখনো দামুড়হুদা, কখনো দর্শনায় বসবাস করেন।

মামলার পর অভিযুক্ত পলাতক

মামলার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর সাজিদ হাসান আত্মগোপনে চলে যান। তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান

অভিযুক্ত প্রভাষক যে কলেজে কর্মরত, সেখানকার অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি মামলার বিষয়টি জানতে পেরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্রকে অবহিত করেছেন।

ইউএনও তিথি মিত্র বলেন, “মামলার বিষয়টি জেনে কলেজ অধ্যক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আজই জরুরি সভা ডাকা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুলিশের তদন্ত

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।”

এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সমাজ ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।

Exit mobile version