বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে টেকসই ও অর্থবহ করে তুলবে। বাংলাদেশ আইন সমিতি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এই দাবি উত্থাপন করেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ অপরিহার্য। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে, যখন স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশ আইন সমিতির ভূমিকা
প্রধান বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ আইন সমিতি বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণ শুধুমাত্র বিচারকদের জন্য নয়, বরং এটি দেশের নাগরিকদের অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য।”
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এই ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আইন সমিতির আহ্বায়ক আইনজীবী মনির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. শাহজাহান সাজু। সমিতির সদস্যসচিব আইনজীবী মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ।
বিচার বিভাগ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণ বাংলাদেশের সংবিধানের একটি মৌলিক নীতি। তবে, বাস্তবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে। প্রধান বিচারপতির এই দাবি সেই প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সহজতর হবে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের এই দাবি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রীকরণের দীর্ঘদিনের দাবিকে নতুন করে সামনে এনেছে। বাংলাদেশ আইন সমিতি ও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে তা দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা যায়।
এই ব্লগটি পড়ে আপনার যদি কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থেকে থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের সাথে শেয়ার করুন। আমরা আপনার মতামত এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত। আরও নতুন ও আকর্ষণীয় তথ্য পেতে আমাদের ব্লগটি (Bangla Wiki BD) ফলো করুন এবং বাংলা উইকি বিডির সাথে যুক্ত থাকুন।
আপনার মূল্যবান মতামত আমাদেরকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে!
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন – Contact. Also Read বাংলা উইকি বিডি – Disclaimer