Site icon Bangla Wiki BD

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: কোথায় দাঁড়িয়ে, কী হতে পারে?

ব্যাংককের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গত শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) সাংরিলা হোটেলে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই আলোচনায় উঠে এসেছে ভিসা সংকট, সীমান্ত হত্যা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং তৃতীয় পক্ষের প্রভাব নিয়ে উভয় পক্ষের উদ্বেগ।

ইউনূস-মোদি বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়

কী বললেন নরেন্দ্র মোদি?

মোদি স্পষ্ট করে বলেন, “ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোনো ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক নয়, এটি জনগণের স্বার্থে।” তিনি ইউনূসকে এই বার্তা বাংলাদেশের মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে


ভিসা সংকট: সাধারণ মানুষ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত?

সমস্যাবর্তমান অবস্থা
ভারতীয় ভিসাঅত্যন্ত সীমিত, প্রায় বন্ধের কাছাকাছি
তৃতীয় দেশের ভিসাভারতের মাধ্যমে ভিসা প্রাপ্তি কঠিন
যাতায়াত ব্যবস্থাট্রেন ও বাস চলাচল কমে গেছে

বৈঠকে ভিসা ইস্যুটি সরাসরি আলোচনা না হলেও, এটি বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় সংকট। গত কয়েক মাসে ভারতগামী বাংলাদেশি ভিসার হার ৭০% কমেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।


তৃতীয় পক্ষ কে? চীন প্রসঙ্গ কীভাবে এলো?

ইউনূস সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে তিস্তা নদী প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও ব্যাংককের বৈঠকে সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ না করলেও, মোদি ইঙ্গিত দিয়েছেন, “দুই দেশের সম্পর্কে বাইরের হস্তক্ষেপ অনাকাঙ্ক্ষিত।”

চীন-ভারত-বাংলাদেশ ত্রিমুখী সম্পর্ক


পরবর্তী পদক্ষেপ: সম্পর্কের গতি কোন দিকে?

বৈঠকটি ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হলেও, কূটনীতিকরা মনে করছেন, একটি বৈঠকেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। এখন দেখার বিষয়, উভয় দেশ কীভাবে আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

বিশেষজ্ঞ মতামত:

“দুই দেশের সম্পর্ক এখন সংকটাপন্ন অবস্থায়। ইউনূস-মোদি বৈঠক একটি সুযোগ তৈরি করেছে, কিন্তু বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ।”
— এম হুমায়ুন কবীর, সাবেক রাষ্ট্রদূত


সর্বশেষ তথ্য

আপনার মতামত জানান:

মন্তব্যের ঘরে লিখুন।

Exit mobile version