
খুলনা, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ –
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলমকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আজ শুক্রবার এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
গত কয়েক মাস ধরে কুয়েটে চলছিল উত্তপ্ত পরিস্থিতি। মূলত ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি এবং ক্যাম্পাসে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র হয়।
ঘটনাক্রম:
- ১৮ ফেব্রুয়ারি: ছাত্র সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
- ১৯ ফেব্রুয়ারি: শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন তালাবন্ধ করে প্রতিবাদ জানায়।
- ২৫ ফেব্রুয়ারি: আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
- ১৩ এপ্রিল: হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে।
- সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত: ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত
শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে সরকার উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
✅ সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
✅ জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য করা হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
কুয়েটের ছাত্ররা এই সিদ্ধান্তকে “আন্দোলনের বিজয়” বলে অভিহিত করেছেন। তবে তাঁরা দাবি করেছেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা এবং ক্যাম্পাসে শান্তি ফেরানো এখন প্রধান লক্ষ্য।
পরিস্থিতি এখন কেমন?
- বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
- প্রশাসন আশা করছে, নতুন নেতৃত্বের অধীনে শিগগিরই ক্লাস শুরু হবে।
সামনের চ্যালেঞ্জ
- নতুন উপাচার্যের নেতৃত্বে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক পুনর্গঠন
- ক্যাম্পাসে শান্তি ও স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা
আপনার মতামত জানান:
👉 কুয়েটের এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক বলে মনে করেন?
👉 শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির ভূমিকা কী হওয়া উচিত?
📌 এই খবর শেয়ার করুন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আপনার ভাবনা জানান!
সূত্র: শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কুয়েট প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিবেদন।