ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: আকাশসীমা বন্ধ, হামলার শঙ্কায় সতর্কতা

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি শ্রীনগরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তীব্র সংকটে প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় বুধবার পাকিস্তানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানও হামলার শঙ্কায় নিজেদের আকাশসীমা ও বিমানবন্দরগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করেছে।
পাকিস্তানের দাবি: ভারতীয় যুদ্ধবিমান পিছু হটেছে
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিয়ন্ত্রণরেখার (LoC) কাছে ভারতীয় চারটি রাফাল যুদ্ধবিমানকে পিছু হটতে বাধ্য করা হয়েছে। পাকিস্তান বিমানবাহিনী (PAF) দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় ভারতীয় বিমানগুলো এলাকা ছেড়ে চলে যায় বলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলার শঙ্কা
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে। পেহেলগাম হামলাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারত যুদ্ধযজ্ঞ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে পাকিস্তান সরকার এ ধরনের অভিযোগকে “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের হুঁশিয়ারি
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পাকিস্তান কখনই আগ বাড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে না, তবে কোনো হামলার মুখে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।” তিনি ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন এবং পেহেলগাম হামলার সঙ্গে ইসলামাবাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান।
আকাশপথে কঠোর নজরদারি
হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান তার আকাশসীমায় কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে। দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) সব ধরনের ফ্লাইটের ওপর বিশেষ নজর রাখছে। এছাড়া, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের গিলগিট ও স্কার্দু রুটের সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। লাহোর, করাচি ও ইসলামাবাদের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা সর্বোচ্চ স্তরে তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতের প্রস্তুতি: আরও রাফাল যুদ্ধবিমান
উত্তেজনার মধ্যে ভারত তার সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। ইতিমধ্যে ভারতের কাছে ৩৬টি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা পাকিস্তানের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দুই দেশকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যেকোনো রকম সংঘাত এড়াতে আলোচনার পথ খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তবে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় পুরো দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সকল জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, বিনোদন, শিক্ষা এবং খেলার সংবাদ সকলের আগে জানতে বাংলা উইকিবিডি Bangla Wiki BD এর সাথেই থাকুনা। আপনার মূল্যবান মতামত নিচে কমেন্ট সেকশন এ শেয়ার করুন ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন: