Blogবাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল কয়টি ও কি কি? নিবন্ধন ও বাতিলের পদ্ধতি

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে জনগণ নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করে। এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলসমূহ পালন করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিভিন্ন আদর্শ, দর্শন ও মতবাদের ভিত্তিতে গঠিত এসব দল দেশের রাজনৈতিক ধারাকে প্রভাবিত করে এবং নীতিনির্ধারণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। তবে অনেকেই জানতে চান — বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল কয়টি ও কি কি, এবং তাদের মধ্যে কোনগুলো গুরুত্বপূর্ণ?

এই প্রশ্নের উত্তর শুধু কৌতূহল মেটানোর জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক বৈচিত্র্য, ইতিহাস ও ভবিষ্যতের ধারা অনুধাবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে আমরা সেই বিষয়গুলোই বিশ্লেষণ করেছি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল কয়টি?

২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এই দলগুলো নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত এবং সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

এই ৫৫টি দলের মধ্যে রয়েছে:

  • বৃহৎ রাজনৈতিক দল যেমন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল)
  • ইসলামিক রাজনৈতিক দল: যেমন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
  • বামপন্থী দল: যেমন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি
  • নতুন ও উদীয়মান দল: যেমন গণঅধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, ইত্যাদি।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা (২০০৮–২০২৫)

নিবন্ধন নম্বররাজনৈতিক দলের নামপ্রতীক নিবন্ধন তারিখপ্রতিষ্ঠাতা/প্রতিষ্ঠাতারা
০০১লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)ছাতা২০/১০/২০০৮ড. অলি আহমদ, বীর বিক্রম
০০২জাতীয় পার্টি (জেপি)বাইসাইকেল২০/১০/২০০৮কাজী জাফর আহমদ
০০৩বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল)চাকা০৩/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০০৪কৃষক শ্রমিক জনতা লীগগামছা০৩/১১/২০০৮বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
০০৫বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিকাস্তে০৩/১১/২০০৮মনি সিংহ, মোজাফফর আহমদ
০০৬বাংলাদেশ আওয়ামী লীগনৌকা০৩/১১/২০০৮মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক
০০৭বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)ধানের শীষ০৩/১১/২০০৮জিয়াউর রহমান
০০৮গণতন্ত্রী পার্টিকবুতর০৩/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০০৯বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকুঁড়েঘর০৩/১১/২০০৮মোজাফফর আহমদ
০১০বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিহাতুড়ী০৩/১১/২০০৮রাশেদ খান মেনন
০১১বিকল্পধারা বাংলাদেশকুলা০৩/১১/২০০৮এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী
০১২জাতীয় পার্টিলাঙ্গল০৩/১১/২০০৮হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
০১৩জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)মশাল০৩/১১/২০০৮হাসানুল হক ইনু
০১৫জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)তারা০৯/১১/২০০৮আ স ম আবদুর রব
০১৬জাকের পার্টিগোলাপ ফুল০৯/১১/২০০৮পীরজাদা জায়েদ সাইফুদ্দিন আহমদ
০১৭বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)মই০৯/১১/২০০৮খালেকুজ্জামান
০১৮বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)গরুরগাড়ী০৯/১১/২০০৮নাজিউর রহমান মঞ্জুর
০১৯বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনফুলের মালা০৯/১১/২০০৮সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী
০২০বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনবটগাছ১৩/১১/২০০৮মাওলানা হাবিবুর রহমান
০২১বাংলাদেশ মুসলিম লীগহারিকেন১৩/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০২২ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)আম১৩/১১/২০০৮ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ
০২৩জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশখেজুরগাছ১৩/১১/২০০৮মাওলানা আব্দুল মালেক
০২৪গণফোরামউদীয়মান সূর্য১৩/১১/২০০৮ড. কামাল হোসেন
০২৫গণফ্রন্টমাছ১৩/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০২৭বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপগাভী১৩/১১/২০০৮মোজাফফর আহমদ
০২৮বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকাঁঠাল১৬/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০৩০ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশচেয়ার১৬/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০৩১বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিহাতঘড়ি১৭/১১/২০০৮মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম
০৩২ইসলামী ঐক্যজোটমিনার১৭/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০৩৩বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসরিক্সা২০/১১/২০০৮মাওলানা হাবিবুর রহমান
০৩৪ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশহাতপাখা২০/১১/২০০৮চরমোনাই পীর সৈয়দ ফজলুল করিম
০৩৫বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টমোমবাতি২০/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০৩৭বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিকোদাল২০/১১/২০০৮সাইফুল হক
০৩৮খেলাফত মজলিসদেওয়াল ঘড়ি২২/১১/২০০৮তথ্য অনুপলব্ধ
০৪০বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলহাত (পাঞ্জা)০২/০৬/২০১৩তথ্য অনুপলব্ধ
০৪১বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)ছড়ি০৮/১০/২০১৩তথ্য অনুপলব্ধ
০৪২বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফটেলিভিশন১৮/১১/২০১৩ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা
০৪৩জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমসিংহ৩০/০১/২০১৯ববি হাজ্জাজ
০৪৪বাংলাদেশ কংগ্রেসডাব০৯/০৫/২০১৯অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন
০৪৫তৃণমূল বিএনপিসোনালী আঁশ১৬/০২/২০২৩শমসের মবিন চৌধুরী
০৪৬ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশআপেল০৮/০৫/২০২৩তথ্য অনুপলব্ধ
০৪৭বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদমটরগাড়ি (কার)০৮/০৫/২০২৩তথ্য অনুপলব্ধ
০৪৮বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমনোঙ্গর১০/০৮/২০২৩তথ্য অনুপলব্ধ
০৪৯বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বি.এস.পি)একতারা১০/০৮/২০২৩তথ্য অনুপলব্ধ
০৫০আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)ঈগল২১/০৮/২০২৪তথ্য অনুপলব্ধ
০৫১গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)ট্রাক০২/০৯/২০২৪নুরুল হক নুর, রেজা কিবরিয়া
০৫২নাগরিক ঐক্যকেটলি০২/০৯/২০২৪মাহমুদুর রহমান মান্না
০৫৩গণসংহতি আন্দোলনমাথাল১৭/০৯/২০২৪জোনায়েদ সাকি
০৫৪বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টিফুলকপি০২/০২/২০২৫তথ্য অনুপলব্ধ
০৫৫বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)রকেট০৯/০৪/২০২৫

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ রাজনৈতিক দল এর প্রতিষ্ঠা এবং নিবন্ধন এক জিনিস নয়। উপরে রাজনৈতিক দল কবে নিবন্ধিত হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে (প্রতিষ্ঠার তারিখ নয়)।
রাজনৈতিক দল গুলোর প্রতীক দেখতে এবং দরগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এর ওয়েবসাইট ভিসিট করুন।

বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করতে হয়। নিবন্ধনের মাধ্যমে দলটি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে এবং সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে নিবন্ধনের পাশাপাশি দলটির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণও রয়েছে। নিচে নিবন্ধন ও বাতিল সম্পর্কিত প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো:

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া

১. নিবন্ধনের আবেদন:
রাজনৈতিক দলটি নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্ধারিত ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে হবে। সাধারণত, দলটির গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকা, নির্দিষ্ট সংখ্যক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রমের প্রমাণ এবং ২০০ সদস্যের তালিকা সংযুক্ত করতে হয়।

২. নিবন্ধনের শর্ত:
নিবন্ধনের জন্য দলটিকে নিম্নোক্ত শর্তাবলি পূরণ করতে হয়:

  • গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গণতান্ত্রিক কাঠামো থাকতে হবে।
  • ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার পরিকল্পনা থাকতে হবে।
  • নির্দিষ্ট সংখ্যক জেলা ও উপজেলা ইউনিট থাকতে হবে।
  • নির্বাচনে অংশগ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে।

৩. পরীক্ষা ও যাচাই:
নির্বাচন কমিশন জমাকৃত কাগজপত্র পরীক্ষা করে এবং প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখে দলটি শর্ত পূরণ করেছে কি না।

৪. নিবন্ধন প্রদান:
সব শর্ত পূরণ হলে নির্বাচন কমিশন দলটিকে নিবন্ধন প্রদান করে এবং তা গেজেটে প্রকাশ করে।

নিবন্ধন বাতিলের কারণ (Article 90H অনুযায়ী):

নিম্নোক্ত যেকোনো কারণে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে:

  • (ক) দলটির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি কর্তৃক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলে।
  • (খ) সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে।
  • (গ) দলটি ধারাবাহিকভাবে তিন বছর ধরে কমিশনে তথ্য প্রদান না করলে।
  • (ঘ) দলটি ৯০বি অনুচ্ছেদের (১)(খ) উপদফা লঙ্ঘন করলে।
  • (ঙ) দলটি টানা দুইটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে।
  • (চ) দলটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদিত গঠনতন্ত্র কমিশনে দাখিল না করলে।

নিবন্ধন বাতিলের আগে শুনানি:

উপরোক্ত (গ), (ঘ), (ঙ) ও (চ) কারণে নিবন্ধন বাতিলের আগে নির্বাচন কমিশন দলটিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেবে।

অতিরিক্ত বিধান:

  • যে কোনো বিলুপ্ত দল পুনরায় সেই নাম ব্যবহার করে নিবন্ধন পাবে না।
  • নিবন্ধন বাতিল বা দল বিলুপ্ত হলে, তা সরকারী গেজেটে প্রকাশ করা হবে।

এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী মেনে চললে একটি দল বাংলাদেশে বৈধভাবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম চালাতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (সারসংক্ষেপ)

বিষয়তথ্য
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা৫৫টি
সর্বশেষ নিবন্ধনপ্রাপ্ত দলবাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি) – প্রতীক: রকেট
নিবন্ধনের শুরু২০০৮ সাল থেকে
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিতহ্যাঁ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন

প্রশ্ন ১: বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে?
উত্তর: ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে।

প্রশ্ন ২: বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের প্রতীক কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: প্রতীক সাধারণ জনগণের মধ্যে পরিচিতি গঠনে সাহায্য করে এবং ব্যালট পেপারে ভোট প্রদান সহজ করে তোলে।

প্রশ্ন ৩: কোন দলটি সবচেয়ে পুরাতন রাজনৈতিক দল?
উত্তর: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দুটি অন্যতম পুরাতন এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দল।

প্রশ্ন ৪: দল নিবন্ধন করতে হলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হয়?
উত্তর: নির্দিষ্ট সংখ্যক থানা ও ইউনিয়নে কার্যক্রম, সদস্য সংখ্যা এবং ভোটে অংশগ্রহণ ইত্যাদি শর্ত পূরণ করতে হয়।

প্রশ্ন ৫: রাজনৈতিক দলের তালিকা কোথা থেকে পাওয়া যায়?
উত্তর: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ তালিকা ও তথ্য পাওয়া যায়।

উপসংহার

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বহুমাত্রিক ও বৈচিত্র্যময়। বর্তমানে ৫৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বিদ্যমান, যাদের মধ্যে কিছু দল দীর্ঘকাল ধরে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয়, আবার কিছু দল নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করছে। এই দলগুলোর উপস্থিতি গণতান্ত্রিক বিকাশ ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণকে আরও শক্তিশালী করে।

তবে শুধুমাত্র নিবন্ধনের মাধ্যমে গণতন্ত্র কার্যকর হয় না। প্রয়োজন সুশাসন, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং জনগণের অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক দলগুলো যদি গণমুখী নীতি গ্রহণ করে এবং স্বচ্ছভাবে কাজ করে, তাহলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে পারবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button